ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), বরগুনা জেলা কৃষক সমন্বয় পরিষদ, লতাকাটা জেলে সমিতি ও একতা ক্লাবের যৌথ আয়োজনে শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের লতাকাটা ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গনে বরগুনা-তালতলী-পাথরঘাটা উপকূলীয় জেলে, কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার দাবিতে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) বরগুনা শাখার আহবায়ক ড. আজমেরী বেগম এর সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধরা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধরা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফয়সাল আহমেদ, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়ক মোঃ নুর আলম শেখ, বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ূন হাসান শাহিন, জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল শাকুর। সভা পরিচালনা করেন ধরা’র বরগুনা শাখার সদস্য সচিব মুশফিক আরিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, ‘মাছের নদী, সাগরে কেন মাছ থাকবে না, কৃষি এলাকায় কেন কৃষি হয় না, নারিকেল গাছে কেন নারিকেল হয়না এ জন্য কারা দায়ী। যাদের এর জন্য প্রতিবাদ করার কথা, তারাই এসব ধংস করেছে। পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে কৃষক ও জেলেদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, এক বছর আগে ১ হাজার টাকার মাছ এখন এক বছর পরে তিন হাজার টাকা। কেন নদী ও সাগরে মাছ এখন কম, এগুলো আমাদের ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। আমরা যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করি, আমরা যদি পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রমের প্রতিবাদ না করি, তাহলে আমরা পরনির্ভরশীল হয়ে পরবো।’
জনসমাবেশ স্থলে কয়েক হাজার কৃষক, জেলে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ স্থলে ‘প্রান্তিক কৃষকের দাবি মানলে উন্নয়ন সুষম হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবর্জনা মরছে মাছও, মরছে পোনা, কীটনাশকের ব্যবহার রোধ করো সামুদ্রিক মাছের বংশবিস্তার নিশ্চিত কর, ১০০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর কর, কার্বন নিয়ন্ত্রণ একটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া নদী পুনরুদ্ধার করো, জেলেদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করো’ এরূপ বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। উপস্থিত সকলে মাছ ও কৃষি সংরক্ষণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করার মাধ্যমে সভাটি শেষ হয়।









