ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তিন দিনব্যাপী কৌশলগত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় সুন্দরবনে। কর্মশালায় পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু ন্যায্যতা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অধিবেশন ও কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, কর্মশালার প্রথম দিনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ধরা’র সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। উদ্বোধনী অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়ক এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
ধরা’র সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স’র সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই)’র বিগত ১ বছরের কার্যক্রমের উপস্থাপন করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর গবেষণা ও বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক। এই অধিবেশনে ধরা’র গত ১ বছরের কার্যক্রমের উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রচার সমন্বয়ক মামুন কবীর।
প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অথবা মানবসৃষ্ট সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে গ্রুপ ওয়ার্ক অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ ওয়ার্কে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কোস্টাল গ্রুপ এবং ধরা বাংলাদেশ এই দুই গ্রুপে ভাগ হলে অংশগ্রহণকারীগণ সমস্যা এবং কর্মসূচি চিহ্নিত করেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কোস্টাল গ্রুপ সহায়ক করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর গবেষণা ও বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক এবং কর্মসূচি কর্মকর্তা সাঈদ হোসেন। আর ধরা বাংলাদেশ গ্রুপের সহায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ধরা’র দপ্তর সমন্বয়ক ফয়সাল আহমেদ এবং প্রচার সমন্বয়ক মামুন কবীর।
ধরা’র সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স’র সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ অধিবেশনে জলবায়ু ন্যায্যতার আন্দোলনে কিভাবে অংশীজনদের যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে নেপালের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন দিগো বিকাশ ইনস্টিটিউট, নেপাল এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, অভিষেক শ্রেষ্ঠা। এরপর খুলনা, রবিশাল, চট্টগ্রাম এবং দেশের বাকি অংশের অংশীজন চিহ্নিত করতে গ্রুপ ওয়ার্ক করা হয়। গ্রুপ সহায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মীর মোহাম্মদ আলী, ফয়সাল আহমেদ, ইকবাল ফারুক এবং মামুন কবীর।
পঞ্চম অধিবেশনে “ব্র্যান্ডিংসহ অর্থায়ন পরিবেশ আন্দোলনকে হত্যা করে” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়ের পক্ষে মেজবাহ উদ্দিন খান, মুশফিক আরিফ এবং দেলোয়ার হোসেন আর বিপক্ষে মো. নূর আলম শেখ, জিয়াউর রহমান এবং আফজাল হোসেন অংশগ্রহণ করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মীর মোহাম্মদ আলী, ফয়সাল আহমেদ এবং এনামুল হক।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব দিনের কার্যক্রমের পর্যালোচনা করা হয় সাথে এতে সহায়কের ভূমিকা পালন করেন ইকবাল ফারুক এবং মামুন কবীর।
ধরা’র সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স’র সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আমালেন সাতানানথার, দ্য আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং এশিয়ান প্রোগ্রামস ডিরেক্টর, আর্টিভিজম, পরিবেশগত আন্দোলনের কৌশল, নকশা, সম্পদ এবং উপকরণ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি উপস্থাপন করেন।
দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে ধরা এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর আগামী এক বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ৫ টি অঞ্চলে বিভক্ত করে তার সমস্যা, আক্রান্ত জনগোষ্ঠী এবং তাদের জন্য কার্যক্রম চিহ্নি করতে গ্রুপ ওয়ার্ক করা হয়। এতে সহায়কের ভূমিকা পালন করেন শরীফ জামিল, ইকবাল ফারুক এবং মামুন কবীর।
ধরা’র সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স’র সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনেবাংলাদেশের জ্বালানি গতিপথ নিয়ে আলোচনা উত্থাপন করেন ইকবাল ফারুক। এতে আলোচনায় অংশ নেন মোংলার নেতা মো. নূর আলম শেখ, পটুয়াখালীর নেতা মেজবাহ উদ্দিন খান, তালতলীর নেতা আরিফুর রহমান, কক্সবাজারের নেতা ফরিদুল আলম শাহিন এবং পেকুয়ার নেতা দেলোয়ার হোসেন।
কর্মশালার তৃতীয় দিনে ধরা’র সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স’র সমন্বয়ক শরীফ জামিলের পরিচালনায় অংশগ্রহণকারীগণ আগামী এক বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সবশেষে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়ক এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সঞ্চালনায় পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।











































