বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শোষণ, অবক্ষয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তথাকথিত উন্নত দেশগুলোকে ঋণ নয়, আমাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জলবায়ু ঋণ বাতিল করতে হবে। জলবায়ু ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের এখনই সময়। ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে মোংলার মিঠেখালির রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সড়কে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন। এই অক্টোবরে বিশ্ব্যাংবক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সভার প্রাক্কালে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় নেতা পশুর রিভার ওয়টারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম, ধরা’র নেতা নাজমুল হক, সাংস্কৃতিক সংগঠক জানে আলম বাবু, নারীনেত্রী জেসমিন আক্তার পলি, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, মেহেদী হাসান প্রমূখ। ধরা’র নেতা নাজমুল হক বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি ও মাছ চাষে এবং পরিবেশের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে। আমরা ক্ষতিগ্রন্ত হচ্ছি। আমরা ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ চাই। সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশযোদ্ধা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনকে তরান্বিত করছে। আমরা জলবায়ু উষ্ণতা থেকে বাঁচতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে জীবন-জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তাকে ব্যাহত করছে। আমরা ৪১.০৬ ভাগ মরুকরণের ঝুঁকিতে রয়েছি। ক্ষপিূরণ প্রদান এবং ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের এখন সময়ই। শিক্ষক নেতা ওবায়দুল ইসলাম বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উপকূলের ৭৩% মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তিনি আরো বলেন বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ-কে অন্যায্য ও অসম ব্যবস্থার নীতিকে পরিহার করতে হবে

Newslinks:

Please follow and like us: